Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

সাম্প্রতিক কর্মকান্ড

জেলার মৎস্য বিষয়ক তথ্যাদি, মৎস্য খাতে প্রবৃদ্ধি/অর্জন ও গৃহিত কার্যক্রম

১৭৭০.৫ বর্গ কি. মি. আয়তনের গাজীপুর জেলার জনসংখ্যা ৩৪.০৪ লক্ষ (২০১১ এর আদমশুমারী অনুযায়ী), পুকুর দীঘির সংখ্যা ১৫০০০ টি (আয়তন ৪১০২হেক্টর), প্লাবণভূমি ৪০৯৮৯হেক্টর, নদী ১০টি (১৭৫৩হেক্টর), খাল/বরোপিট ৩৫৬হেক্টর, বিল ১৭১৭হেক্টর, ধান ক্ষেতে মাছচাষ ৩১৯৭হেক্টর, পেনকালচার ৫৮৮হেক্টর, বেসরকারী হ্যাচারি ৫টি (৩টি মনোসেক্স, ১টি ক্যাটফিশ এবং ১টি কার্প হ্যাচারি), বেসরকারী নার্সারী ১০৩টি, মৎস্য খাদ্য উৎপাদন কারখানা ৪০টি, মৎস্য খাদ্য আমদানী-রপ্তানীকারক ৩৪টি, মৎস্যখাদ্য বিক্রেতা (পাইকারী ও খুচরা) ১২৭টি, জেলের সংখ্যা ৭০৪৩ জন, মৎস্য বাজার ১৫৬টি, মৎস্য আড়ৎ ১০৩টি।

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রকাশিত তথ্য

মাছের চাহিদা ৬০৩১২ মে. টন

মোট উৎপাদন ৫৫৪৫৪ মে. টন

ঘাটতি ৪৮৫৮ মে. টন

জেলায় বিগত ১২ বছরের মাছ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি

 

বিবরণ

২০০৯-১০

২০২০-২১

প্রবৃদ্ধি/হ্রাস

মাছের উৎপাদন

৩৪৭৭১ মে.টন

৫৫৪৫৪ মে.টন  

(+) ৫৯.৪৮%

বদ্ধ জলাশয়ে উৎপাদন (চাষ)

১৪৪১০ মে.টন (৩৪.১৮%)

৩৫৮৪৩ মে.টন (৬৪.৬৪%)

(+) ১৪৮.৭২%

পুকুরে উৎপাদন

১৩৬০৪ মে. টন

২৬৪৯০ মে.টন

(+) ৯৪.৭২%

 

গাজীপুর জেলায় গৃহীত কার্যক্রমের তথ্যাদি  (২০০৮-০৯ অর্থবছর হতে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত)

পোনা অবমুক্তকরণ

বিল নার্সারি স্থাপন

অভয়াশ্রম স্থাপন/ মেরামত

পুনঃখনন

প্রশিক্ষণ

প্রদর্শনী খামার স্থাপন

মৎস্য খাতে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান

খামার যান্ত্রিকীকরণ

বাস্তবায়িত প্রকল্পের সংখ্যা

স্থাপনা নির্মাণ

নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা

ডিজিটাইজেসন কার্যক্রম ও ইনোভেশন

রেণু/ পোনা উৎপাদন

মৎস্য খাদ্যের লাইসেন্স/ নবায়ন

মৎস্য হ্যাচারির লাইসেন্স/ নবায়ন

১০

১১

১২

১৩

১৪

১৬৫

৩৪.৪৯৬ মে.টন

৫৬ টি

২ টি

১২ টি (৪.৯৫ হেঃ)

১৪০৭৬ জন

৭৩২ টি

৩৬.০৯ লক্ষ টাকা

৭৬ টি

৫ টি

জেলা মৎস্য দপ্তর, গাজীপুর ভবনের ভার্টিক্যাল এক্সটেনশন

৭০৬৩ জন

১ টি

১৮১১ কেজি রেণু, পোনা- ৯.৫২ লক্ষটি (সরকারী মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার)

২০৭টি

৫ টি

 ১। ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম (এনএটিপি), ২। ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্যচাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্প ৩। এ্ফসিডিআই প্রকল্প, ৪। জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প ৫। মুক্ত জলাশয়ে বিল নার্সারী ও পোনা অবমুকরণ প্রকল্প।


গাজীপুর জেলা  এটি একটি বহুল জনসংখ্যা অধ্যুষিত শিল্পোন্নত জেলা। মাছের চাহিদা পূরণ করতে মৎস্য বিভাগ নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। 

এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ২০২১-২২ অর্থ বছরে গাজীপুর মৎস্য দপ্তর কর্তৃক নিম্নোক্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে-


  • মৎস্যচাষিদের নতুন চাষ পদ্ধতি ও নতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচিত করার মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫টি উপজেলায় মোট ১২৩ টি প্রদর্শনী খামার স্থাপন করা হয়েছে।
  • জেলায় প্রায় ১২০০ জন মৎস্য খামারীর খামার পরিদর্শন পূর্বক মৎস্যচাষ ও মাছের রোগবালাই সম্পর্কীত পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
  • নিরাপদ মৎস্য উৎপাদন এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৫৪৩ জন মৎস্যচাষিকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
  • প্রায় ৬০০টি খামারের পানি ও মাটি পরীক্ষা করে নিরাপদ মৎস্য উৎপাদনে পানির গুণাগুণ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
  • মৎস্য অধিদপ্তরের কাজের সম্প্রসারণ এবং স্থায়ীত্বশীল উৎপাদনের জন্য জেলায় ৬৮টি সিআইজি (কমন ইন্টারেস্ট গ্রুপ) গঠন এবং নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।
  • স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় মৎস্য সংরক্ষণ আইনসহ অন্যান্য মৎস্য বিষয়ক আইন বাস্তবায়নে বিভিন্ন নদ-নদী, খাল-বিল, হাট-বাজার ও মৎস্যখাদ্য কারখানায় মোট ১৮০টি আইন (অভিযান/মোবাইল কোর্ট) বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
  • গাজীপুর জেলার প্রতিটি উপজেলার প্রধান বাজারগুলোকে ফরমালিন মুক্ত করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় প্রতিমাসে বিভিন্ন হাট-বাজারে সচেতনতা সভা, অভিযান ও স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়ে থাকে।
  • মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উপযুক্ত জলাশয়ে বিগত বৎসরে প্রায় ১.৫১মে. টন পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও জেলায় ১৫ টি বিলে স্থাপিত বিল নার্সারীর মাধ্যমে উৎপাদিত প্রায় ৭.৫০ লক্ষ পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়েছে।
  • মৎস্যখাদ্যের গুণগতমান নিশ্চিত এবং চাষিদের নিরাপদ মৎস্যখাদ্য যোগান দেওয়ার নিমিত্ত ৪০টি মৎস্য খাদ্য কারখানা, ৩৪ টি মৎস্য খাদ্য অবদানীকারক প্রতিষ্ঠান এবং ১২৭ টি পাইকারী/খুচরা খাদ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান নিয়মিতভাবে মনিটরিং করা হয়েছে। 
  • মৎস্য খাদ্যের গুণগতমান নিশ্চিতকরণে বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫৫টি খাদ্য নমূনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
  • ভাল পোনা প্রাপ্তির নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গাজীপুর জেলার ৫টি হ্যাচারি নিয়মিতভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে।
  • বিলুপ্ত প্রায় মৎস্য প্রজাতির সংরক্ষণের জন্য কালিয়াকৈর উপজেলায় ২টি মৎস্য অভয়াশ্রম মেরামত ও সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর ফলে বিলুপ্ত প্রায় অনেক প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ করা সম্ভবপর হচ্ছে।

চলমান কার্যক্রমঃ

চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও নিরাপদ মাছ ভোক্তাগণের নিকট সরবরাহ করার জন্য গাজীপুর মৎস্য দপ্তর কর্তৃক নিম্নোক্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে-


  • মৎস্যচাষিদের নতুন চাষ পদ্ধতি ও নতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচিত করার মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে 5টি উপজেলায় মোট ৩৫টি প্রদর্শনী খামার স্থাপন;
  • জেলায় প্রায় ১২০০ জন মৎস্য খামারীর খামার পরিদর্শন পূর্বক মৎস্যচাষ ও মাছের রোগবালাই সম্পর্কীত পরামর্শ প্রদান;
  • নিরাপদ মৎস্য উৎপাদন এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৩৫০জন মৎস্যচাষি/মৎস্যজীবী/অন্যান্য সুফলভোগেীকে প্রশিক্ষণ প্রদান;
  • মৎস্য সাপ্লাই চেইন উন্নয়নের লক্ষ্যে মৎস্য/চিংড়ি উৎপাদনকারীদের সংগঠন উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা;
  • স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় মৎস্য সংরক্ষণ আইনসহ অন্যান্য মৎস্য বিষয়ক আইন বাস্তবায়নে ২০০টি অভিযান/মোবাইল কোর্ট বাস্তবায়ন;
  • মৎস্যজীবী/সূফলভোগীদের জলাশয় ব্যবস্থাপনা/ আইন প্রতিপালন বিষয়ক ২৫টি সচেতনতা সৃষ্টি /উদ্বুদ্ধুকরণ সভার আয়োজন; 
  • মাছকে ফরমালিন মুক্ত রাখতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় প্রতিমাসে বিভিন্ন হাট-বাজারে সচেতনতা সভা, অভিযান ও স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা;
  • মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উপযুক্ত জলাশয়ে চলতি বৎসরে প্রায় ২.১ মে. টন পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও জেলায় ১৪ টি বিলে বিল নার্সারী স্থাপন করা হবে।
  • মৎস্যখাদ্যের গুণগতমান নিশ্চিত এবং চাষিদের নিরাপদ মৎস্যখাদ্য যোগান দেওয়ার নিমিত্ত ৪০টি মৎস্য খাদ্য কারখানা, ৩৪ টি মৎস্য খাদ্য অবদানীকারক প্রতিষ্ঠান এবং ১২৭ টি পাইকারী/খুচরা খাদ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান নিয়মিতভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে ।
  • মৎস্য খাদ্যের গুণগতমান নিশ্চিতকরণে বিগত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৫টি খাদ্য নমূনা পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তন্মোধ্যে ৩৯টি খাদ্য নমুনা ইতিমধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে।
  • গুনগতমানসম্পন্ন পোনা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গাজীপুর জেলার ৬টি হ্যাচারি নিয়মিতভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে।
  • বিলুপ্ত প্রায় মৎস্য প্রজাতির সংরক্ষণের জন্য কালিয়াকৈর উপজেলায় ৩টি মৎস্য অভয়াশ্রম মেরামত ও সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর ফলে বিলুপ্ত প্রায় অনেক প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ করা সম্ভবপর হচ্ছে।

 

 চলমান প্রকল্প (২০২২-২০২৩ অর্থবছর)

 ১) ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ ২ (এনএটিপি ২) 

কার্যক্রম -৪ টি উপজেলায় চলমান (শ্রীপুর, কাপাসিয়া, কালীগঞ্জ, কালিয়াকৈর)

  • প্রদর্শনী স্থাপন (শ্রীপুর- ১২, কাপাসিয়া- ৮, কালীগঞ্জ ১০ টি বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
  • এআইএফ ২ বিতরণ (বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে)
  • কর্মশালার আয়োজন